Media-Buzz-Logo
ঢাকাSunday , 13 April 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. সর্বশেষ
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হবিগঞ্জে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত

Link Copied!

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা বাগান থেকে বিপন্ন লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের লোকজন। উদ্ধার করা বানরটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ওই বাগানের একজন চা শ্রমিকের বাড়ি থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া চা বাগানের একজন শ্রমিক শনিবার সকালে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। বানরটি পথ হারিয়ে বন থেকে নালুয়া চা বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে ওই শ্রমিক কৌশলে বানরটি ধরে তার বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে হবিগঞ্জ বনপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসে এ খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাতছড়ি বন কর্মকর্তারা নালুয়া চা বাগানে ওই শ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা লজ্জাবতী বানরটির বয়স ৬ থেকে ৭ বছর হবে। একে একটি পূর্ণবয়স্ক বানর হিসেবে ধরা যায়। ইংরেজিতে এটিকে বেঙ্গল স্লো লরিস বা নর্থান স্লো লরিস বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই প্রাণী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।

বন্যপ্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর নামেও পরিচিত। এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানর জাতীয় প্রাণী।

সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, লজ্জাবতী বানরটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (রোববার) বেলা ১১টায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানরটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, লজ্জাবতী বানর বাংলা লজ্জাবতী বানর (Bengal Slow Loris) নামেও পরিচিত। মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা কালেঙ্গা বনবিটসহ সিলেট ও চট্টগ্রামের ঘন গহিন বনে মূলত এদের বাস। নিশাচর এই প্রাণীটি গাছের উঁচু ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে ও খুব ধীরে চলাচল করে।

বানরের অন্য প্রজাতির মতো যত্রতত্র ঘোরাঘুরি না করে সব সময় নিজেকে আড়াল রাখতে পছন্দ করে। মূলত গাছের কচিপাতা, আঠা, ফলমূল, ছোট পোকামাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে- খাওয়ার জন্য এরা হাত ব্যবহার না করে সরাসরি মুখ লাগিয়ে খায়। বছরে একবার মাত্র একটি বাচ্চা দেয় এই প্রাণীটি।

তিনি বলেন, দেশের বনাঞ্চলে ঠিক কতটি লজ্জাবতী বানর রয়েছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই। তবে বন উজাড় এবং খাদ্য ও আবাসস্থল সংকটের কারণে সুন্দর এই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) লজ্জাবতী বানরকে ‘সংকটাপন্ন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বন্যপ্রাণী আইন-১৯৭৪ ও বন্যপ্রাণী আইন-২০১২-এর তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এই প্রাণীটি হত্যা, শিকার বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।