২৬ মার্চ শুধু একটি দিন নয়, এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম আক্রমণের বিরুদ্ধে বীর বাঙালি ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তারই ফসল আমাদের স্বাধীনতা। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা শুধু ভৌগোলিক সীমানা নয়, বরং আত্মপরিচয়ের,সাহসিকতার, অধিকার প্রতিষ্ঠার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেতনার প্রতীক।
স্বাধীনতা দিবস কেবল একটি দিন নয়, এটি তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার বাতিঘর। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়,অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর, সত্য ও ন্যায়ের পথে নির্ভীক থাকার, আর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। সংগ্রামের ইতিহাসকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার, দেশকে আরও সমৃদ্ধ করার, আর নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভাবনা, প্রত্যাশা,মতামত ও স্বপ্ন নিয়ে জানাচ্ছেন এ এ এইচ সিয়াম স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ সম্পর্কে শিক্ষার্থী হিসেবে আমার ভাবনা ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক দিন। এটি কেবল একটি দিবস নয়, বরং আমাদের দায়িত্বের প্রতীক। ১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা আজও আমাদের জন্য এক গভীর প্রেরণা। যার প্রেক্ষিতে আমরা জুলাই বিপ্লব, ২০২৪ – এর মত রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে, আমি মনে করি, স্বাধীনতার চেতনা কেবল স্মরণ করার নয়, তা বাস্তবে প্রয়োগ করারও সময় এসেছে।
আজকের প্রজন্মের উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। আমাদের দায়িত্ব শুধু পড়াশোনা করা নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া। ২৬ মার্চের দিনটি শুধু ইতিহাসের দিন নয়, এটি আমাদের জন্য নতুন সংকল্প নেওয়ার সময়। আমি আশা করি, আমাদের নতুন প্রজন্ম সত্যিকারের স্বাধীনতার মূল্য বুঝে দেশকে আরও উন্নত ও ন্যায়ভিত্তিক একটি বাংলাদেশে পরিণত করবে।
স্বাধীনতা লাখ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত খোদার দান মুক্তিযুদ্ধ আমার অস্তিত্ব, আমার অহংকার। এই মহান স্বাধীনতা দিবসে আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার স্বাদ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের দায়িত্ব। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, যিনি সেই মহান সৈনিকদের মাধ্যম হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির অবদান নয়, এটি এসেছে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে, কোটি মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। ইতিহাসের বিভিন্ন মিথকে দূরে রেখে আমাদের উচিত প্রকৃত ইতিহাস ধারণ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া। এই স্বাধীনতা আমাদের গর্ব, আমাদের পরিচয়।
স্বাধীনতা তুমি অলংকার তুমি বাঙালির অহংকার স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। অগণিত মানুষের প্রাণান্ত সংগ্রাম এবং বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা,সাহস,ঐক্য,দেশপ্রেমএবং আত্মবিসর্জন নিয়ে এ স্বাধীনতা শব্দটি রচিত। এত ত্যাগ ও কৃচ্ছতা সাধনের পর এই স্বাধীনতা।এ স্বাধীনতার মর্মার্থ বিকশিত হউক আমাদের মননে , কর্মে ও জীবনে। স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে যাক প্রতিটি নাগরিকের দোরগোড়ায়।


